বেঙ্গালুরু, ১৭ জুলাই: দীর্ঘ ১৮ বছরের অপেক্ষার পর আইপিএলের ট্রফি নিজেদের ঘরে তোলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। সেই জয়ের আনন্দ উদযাপন করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। জখম হন ৫০ জন। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কর্ণাটকে তোলপাড় হয়। প্রশাসন ও কর্ণাটক ক্রিকেট সংস্থা, আরসিবি সকলকেই কাঠগড়ায় তোলা হয়। বাদ যায়নি সিদ্ধারামাইয়ার সরকারও। পদপিষ্ট কাণ্ড গড়ায় কর্ণাটক হাইকোর্টে। সেখানেই চলছে মামলা। আর সেই মামলায় স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে গিয়ে পুরো ঘটনার জন্য আরসিবিকেই দায়ী করেছে কর্ণাটকের কংগ্রেস সরকার।
কাঠগড়ায় তোলা হয়েছে বিরাট কোহলিকেও। যার তীব্র নিন্দা করেছে কর্ণাটকের বিরোধী দল বিজেপি। হাইকোর্টে কর্ণাটক সরকার স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তাতে উল্লেখ রয়েছে, আরসিবি কর্তৃপক্ষ জুনের ৩ তারিখে পুলিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে। তখনই মৌখিকভাবে বলে তারা একটি ভিক্ট্রি প্যারেড করতে চায়। এটাই ছিল আরসিবি কর্তৃপক্ষের আর্জি। কোনও লিখিত আবেদন করেইনি তারা। তাই পুলিসের পক্ষে বোঝা সম্ভব ছিল না কী পরিস্থিতি হতে চলেছে। কর্ণাটক সরকারের দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়েছে, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু কর্তৃপক্ষ পুলিসের সঙ্গে কথা না বলেই ভিক্ট্রি প্যারেডের বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। বিনামূল্যে স্টেডিয়ামে প্রবেশের কথাও তারাই জানিয়েছিল। পুলিস কিংবা প্রশাসনের কেউই সেই বিষয়টি জানতই না।
এমনকী বিরাট কোহলি ফ্যানেদের ভিডিও বার্তায় আর্জি জানিয়েছিলেন জয়ের উৎসবে যোগ দিতে। কর্ণাটক সরকারের দেওয়া এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট দেখে ক্ষুব্ধ বিরোধী দল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের এক নেতা জানিয়েছেন, ‘সেলিব্রেশনের জন্য শুধু যে আরসিবি লোক জড়ো করেছিল তেমন নয়। খোদ ডি কে শিবকুমার, সরকারি আধিকারিকরা এবং কংগ্রেসও ক্রিকেট প্রেমীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সরকারি আধিকারিকরা টেলিভিশনে প্রকাশ্যে সমর্থকদের আহ্বান জানিয়েছেন। আরসিবির জয়ের কৃতিত্ব নিতে চেয়েছিল সরকার। এখন বিপাকে পড়ে বিরাট কোহলিকে দায়ী করছে।’ সূত্রের খবর, কর্ণাটক হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে এই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছিল কংগ্রেস সরকার। হাইকোর্টকে তারা আর্জি জানায়, যেন এটি প্রকাশ্যে না আনা হয়। যদিও কর্ণাটক হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। কংগ্রেস সরকারকে আদালত বলে, রিপোর্ট প্রকাশ্যে না আনার কোনও আইনি যুক্তি নেই। (সৌজন্যে,বর্তমান)