কলকাতা,১৭ জুলাই: বর্ষায় বেহাল রাস্তা ও জমা জল নিয়ে উদ্বিগ্ন কলকাতা হাইকোর্ট। '২ সপ্তাহের মধ্যে রাস্তা ঠিক করার বিষয়ে পদক্ষেপ না করা হলে স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করা হবে', হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেনের।
এদিন বিচারপতি সেন বলেন, 'সমস্ত জেলা পরিষদ এবং পূর্ত দফতর কাজ না করলে, আদালতকেই কিছু করতে হবে। কলকাতার বিভিন্ন অংশ, তারাতলা থেকে বজবজের দিকের রাস্তাও খুব খারাপ। বিভিন্ন জেলার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। রোগীরা অত্যন্ত অসুবিধায় পড়ছেন। আমি দেখেছি কীভাবে রোগীদের এক জায়গা থেকে অন্যত্র নিয়ে যেতে হচ্ছে। জমা জল সরাতে খুব বেশি টাকা লাগবে না, পাম্প লাগান', এদিন পরামর্শ দিয়েছেন বিচারপতি সেন।
প্রায় প্রতিটা বর্ষায় খারাপ রাস্তার জেরে ভোগান্তি পড়তে হয়, ইতিমধ্যেই বারবার তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশের ছবি প্রকাশ্যে এসেছে। তারই ফের জ্বলন্ত উদাহরণ দেখা গেল এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে।ফের খাটিয়ায় চেপে হাসপাতালে যেতে দেখা গেল রোগীকে। বর্ষায় কেশপুরের সেই বেহাল রাস্তার ছবি ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। বেহাল রাস্তায় গাড়ি ঢুকতে না পারায় বাড়িতেই পড়েছিলেন আরেক রোগিণী। ছবি ভাইরাল হতেই এবার টনক নড়েছে প্রশাসনের। ঘটনাস্থলে আসেন বিডিও। অসুস্থ মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা বিডিও-র। অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির আশ্বাসও দিয়েছেন তিনি।
এদিন দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা পশ্চিমবাংলায় যেই বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে, সমস্ত পথশ্রী এখন হতশ্রী হয়ে গিয়েছে। কাঁধে করে, খাটিয়ায় করে, লোককে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এটা প্রত্যেক বছরের ছবি পশ্চিমবাংলায়। কারণ টাকা পয়সা মেরে,..লুট করে শেষ। মেরামতেরও পয়সা নেই। আর করতেও চায় না ওরা। ওরা জানে কিছু করতে হবে না, আমরা তো, ভোট পাব, জিতে যাব।